হাকালুকি হাওর; প্রকৃতির সাথে রুপ বদলায় প্রতিনিয়ত । পর্যটকদের নতুন পছন্দ।
মিনি কক্সবাজার খ্যাত সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত হাকালুকি হাওরের প্যানারোমা ভিউ । |
হাওরের চারপাশ ঘিরে রয়েছে জনবসতি । এ জনপদের মানুষের জীবনধারণের অন্যতম যোগান সরবরাহ করে এ হাওর । এ হাওরের মাছের স্বাদের বেশ সুনাম রয়েছে । মৎসজীবিরা হাওরে মাছ শিকার করে জীবন নির্বাহ করে । বিল গুলোর মাছ বিদেশেও রপ্তানি হয় ।
হাকালুকির বর্ষা মৌসুমের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
রবি মৌসুমে প্রচুর পরিমাণ ধান চাষ হয় । সবুজে ভরে যায় পুরো হাওর । সোনালী ধানে ভরে যায় পুরো মাঠ। হাওর পাড়ের মানুষের খাদ্যের উল্লেখযোগ্য চাহিদা মেটায় এ হাওর । এক মৌসুমের ধান তুলে কৃষকের পুরো বছর চলে যায় । কেউ কেউ অতিরিক্ত ধান বিক্রি করে পরিবারের অন্যান্য প্রয়োজন মেটায় ।
শীতকালে প্রচুর পরিমাণ অতিথি পাখির ঢল নামে । হাজার হাজার পাখি দূরদেশ থেকে উড়ে আসে হাকালুকি হাওরের জলাধার গুলোতে । ইদানীং অসাধু লোকদের ব্যাপক পাখি শিকারের কারণে আগের মত তেমন পাখি আর আসে না । পাখি শিকারে স্থানীয় কিছু চক্র ছাড়াও প্রশাসনের কিছু অসাধু লোক জড়িত ।
হাকালুকি হাওরের প্রকৃতির ভিন্ন রকম দৃশ্য দেখুন এখানে ক্লিক করুন ।
সাম্প্রতিককালে হাকালুকি ভ্রমণ পিপাসীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । পর্যটকরা ভীড় জমাচ্ছেন হাকালুকির তীরে । বেশ কয়েকটি উপজেলা জুড়ে হাকালুকি বিস্তৃত হলে পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক স্থান হলো ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট নামক স্থানে । এখানেই মুলত পর্যটকরা বেশি আসেন । হাওর ঘুরে দেখার জন্য নান্দনিক বিভিন্ন ধরনের নৌযান রয়েছে ।
হাকালুকি হাওরের পড়ন্ত বিকেল |
প্রকৃতির সাথে রূপ বদলায় হাকালুকি হাওর । |
এবারের কুরবানীর ঈদের হাকালুকি হাওরের জিরো পয়েন্টে প্রত্যাশার চাইতে বেশী পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। দিন দিন বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা। স্থানীয় সরকারের ব্যবস্থাপনায় জিরো পয়েন্টের কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে পর্যটক বান্ধব করতে স্থানটিকে আরো পরিকল্পিত দৃষ্টিনন্দন করা সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে।
প্রকৃতির পরিবর্তন বদলে দেয় হাকালুকি হাওরের দৃশ্যপট। |
আমার পরবর্তী ব্লগে থাকবে কিভাবে সেখানে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রকার দিক নির্দেশনা। জানতে চোখ রাখুন আমার ব্লগে।
No comments
Thank You For your Comments.