আমাদের সংগঠনের কাঙ্খিত মান ও পরিবেশ
- একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই
আমাদের লক্ষ্য
- একটি আদর্শিক বিপ্লব সাধন করতে
চায়
- এটি সর্বাত্মক পরিবর্তনের একটি আন্দোলন অর্থ্যাৎ ব্যক্তি হতে রাষ্ট্র
পর্যন্ত ইসলামী করন
- আমাদের সংগঠনের পরিচালক একমাত্র
আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রাসূল (সঃ)
- আদর্শ ‘আল্লাহর রাসূল’
- আামদের সংগঠন দুনিয়া কেন্দ্রিক
নয়, আখেরাত
কেন্দ্রিক
- এটি একটি পরিপূর্ণ দ্বীনি সংগঠ
- এই সংগঠনের সমস্ত কাজ আল্লাহর ইবাদত
- সংগঠন শব্দের অর্থ সংঘবদ্ধ বা
দলবদ্ধ করণ
- বিশেষ অর্থে সংঘবদ্ধ বা দলবদ্ধ
জীবন
- ইংরেজী প্রতিশব্দ Organization
- যার শাব্দিক অর্থ বিভিন্ন Organ কে একত্রিকরণ, গ্রন্থায়ন
একিভূতকরণ
- মানবদেহের সাথে তুলনা বা আত্মিকরণ
সংজ্ঞাঃ
কাঙ্খিত মানঃ
- যে মান আকাংখা বা কামনা করা হয়
- মান অর্থ Standard
সংগঠনের কাঙ্খিত মান নির্ভর করে ৪ টি বিষয়ের উপরঃ
- ১. নেতার কাঙ্খিত মান
- ২. কর্মী বাহিনীর কাঙ্খিত মান
- ৩. নেতা এবং কর্মীর সমবায়ে কাঙ্খিত পরিবেশ
- ৪. সংগঠনের বাহ্যিক কাঙ্খিত মান
নেতার কাঙ্খিত মানঃ
- জ্ঞানগত যোগ্যতা অর্জন
- যথাযথ শৃংখলা বিধানের যোগ্যতা জনশক্তি
পরিচালনার যোগ্যতা
- সর্বস্তরের জনশক্তির কাছে
আদর্শস্থানীয় হওয়া
- সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহনের
যোগ্যতা
- রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রজ্ঞা
- উর্ধ্বতন সংগঠনের আনুগত্য
করা
- সার্বিক দিক থেকে সংগঠনকে
গতিশীল করার যোগ্যতা
- আল্লাহর সন্তুষ্টি
- সামগ্রিক কাজে ভারসাম্য
রক্ষা করা
৫. মর্যদার অনুভূতি ও নিবিড় সম্পর্কঃ
“তোমার দিলকে সেই লোকদের সংস্পর্শে স্থিতিশীল রাখ, যারা নিজেদের রবের সন্তোষ লাভের সন্ধানী হয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় তাকে ডাকে। আর কখনও তাদের থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাবে না। তুমি কি দুনিয়াদারী চাকচিক্য জাঁকজমক পছন্দ কর।” (আল কাহাফ - ২৮)
-পাখি যেমন নিজ বা‛চাদের স্বীয় ডানার নীচে নেয়ঃ
“এবং ঈমানদার লেকদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে তাদের প্রতি তোমরা ডানা মেলে দাও।” (আল ------ ২১৫)
কর্মী বাহিনীর কাঙ্খিত মান
- যথার্থ আনুগত্য
- অর্পিত দায়িত্ব পালন
যথার্থভাবেক্স জ্ঞান অর্জন
- সময়কে পরিকল্পিত ব্যবহার
- দাওয়াতী কাজ/ সংগঠন
সম্প্রসারনে পূর্নাঙ্গ অংশ গ্রহন
- নিজের মান উন্নয়ন
পরিবেশঃ
সাধারন সংজ্ঞাঃ
সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিবেশ: লক্ষ্য উদ্দেশ্য কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির আলোকে মানুষ যে কর্মতৎপরতা চালায় তাতে একটা অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকেই পরিবেশ বলে।
পরিবেশঃ
আমাদের মধ্যে কোন ধরনের পরিবেশ কাম্যঃ
- ১. আমাদের সবার
আখেরাতের চিন্তায় বিভোর থাকতে হবে।
- ২. দুনিয়াবী স্বর্থ
ত্যাগের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে
- ৩. সমস্ত কাজ
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে
- ৪. অপরকে
অগ্রাধিকার তথা ভোগ নয় ত্যাগের মানসিকতা পোষন করা
তোমাদের উত্তম নেতা তো তারা যাদেরকে তোমরা ভালবাস, তারা তোমাদেরকে ভালবাসে। তোমরা তাদের জন্য দোয়া কর। তারাও তোমদের জন্য দোয়া করে। রাসূল (সঃ) দোয়া করতেন - আমার উম্মতের সামষ্টিক কাজের কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি তাদেরকে কষ্ট দেলে তবে আপনিও তাকে কষ্টে ফেলুন। .... নম্রতা অবলম্বন করেন আপনিও তার প্রতি নম্রতা অবলম্বন করূন। মুমিন হচ্ছে প্রেম ভালবাসার মূর্ত প্রতিক, যে ব্যক্তি না ভালবাসে আর না তাকে ভালবাসা হয় তার ভিতর কোন কল্যান নেই।” হাদীস
কাঙ্খিত গুনাবলী : (যা সংগঠনের আভ্যন্তরীন পরিবেশ রক্ষা করবে)
১. পারস্পারিক সম্পর্ক-
- ভ্রাতৃত্বের
সম্পর্ক বন্ধুত্বের সম্পর্ক নয়
- আদর্শিক সম্পর্ক
- ঠুনকো নয়
- শুধুমাত্র ভায়ের সাথেই তুলনা করা চলে
“যারা আমার শ্রেষ্ঠত্বের খাতিরে পরস্পরকে ভালবাসে তাদের জন্য আখেরাতে নূরের মেস্বার তৈরি হবে এবং নবী ও শহীদগন তাদের প্রতি ঈর্ষা করবেন” (তিরমিজি) - মুয়াজ ইবনে জাবাল
- কল্যাণ কামনা /
আদদিনুন
- অপরকে
অগ্রাধিকার দেয়া
- পরস্পরের জন্য
দোয়া করা
- সবাই একদেহ
একমন হওয়া
- তামাম রং, তামাম আনুগত্য, তামাম বাতিল থেকে বিচ্ছিন্ন এবং আল্লাহর জন্যই একনিষ্ঠ ও একমুখী হয়- তারাই হয়
তারাই যদি ----- কে ভালবাসে
- সৎ কর্মের ক্ষেত্রে আনুগত্য
- ব্যক্তির পরিবর্তনে আনুগত্যের পরিবর্তন না করা
- আদেশ দিতে হবে মন মানসিকতা ও অবস্থা বুঝে
- আদেশ হবে মিষ্টি ভাষায়
- আনুগত্য করতে হবে হৃদয় মন দিয়ে / আন্তরিকতা সহকারে
পরামর্শ ভিত্তিক কাজ
- বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে দায়িত্ব পালন ও মনকে খালি করা
- পরামর্শ দেয়ার পদ্ধতি অবলম্বন
- নিজের স্বার্থে নয় সামষ্টিক স্বার্থে পরামর্শ
- নিজের পরামর্শ গ্রহন করানোর জন্য জিদ করা যাবে না
- পরামর্শ নেয়ার ক্ষেত্রে
- অধিকাংশের মতে রায়
- যাই সিদ্ধান্ত হোক তার উপর অটল থাকা
- নিজের মতের বিরূদ্ধে সিদ্ধান্ত হলে তা বাস্তবায়নে আসা
ওয়াশ-শা-বিরহুম ফিল্ আমর
- একদিকে কুরাইশদের বানিজ্য কাফেলা
- অপরদিকে সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনী
- পরিস্থিতির দাবী ছিল সশস্ত্র বাহিনীর সাথে লড়াই করে তাদের শক্তি খর্ব করা
- আল্লাহর ইচ্ছাও এটাই ছিল
- পরামর্শের জন্য মুহাজির ও আনসারদের একত্রে বসিয়ে পরামর্শ নিলেন
- মুহাজির হযরত মিকদাদ ইবনে আমর আরয করলেন:
ওহুদ যুদ্ধ (৩য় হিজরী)
- শহরে অবরূদ্ধ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হবে
- না কি শহর থেকে বাইরে গিয়ে মুকাবেলা হবে
- পরামর্শ করে অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন
আহযাবে যুদ্ধ (৫ম হিজরী)
- পরামর্শের ভিত্তিতেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
- হযরত সালমান ফারসীর পরামর্শ অনুযায়ী খন্দক খনন
- পিছনে থাকা ইহুদীদের কেল্লা থেকে গাদ্দারীর আশংকা ছিল
- তিনি চাইছিলেন তারা মদীনায় উৎপাদিত এক তৃতীয়াংশ ফল গ্রহন করূক কুরাইশদের সাথে সম্পক ছেদ করে মুসলমানদের সাথে সন্ধি-চুক্তিতে আবদ্ধ হউক। অবস্থার নাজুকতা উপলদ্ধি করে তিনি বুনগাতফানের সাথে সন্ধির কথা বার্তা আরম্ভ করেন
- কিন্তু এ ব্যপারটি নিয়েও তিনি সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করেন
- আনসারদের মধ্য থেকে সাদ ইবনে উকাদা ও সায়াদ
ইবনে মুয়াজ জিঙ্গেস করলেন “হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি আপনার নিজের ইচ্ছা না আল্লাহর নির্দেশ?
তিনি বললেন না এটা আমারই ইচ্ছা। আমি তোমাদের রক্ষা করতে ও শক্রদের শক্তি ভেঙ্গে দিতে চাচ্ছি।’
- উভয় সরদার জবাব দিলেন, “আমরা যখন মুসলমান ছিলাম না তখনো এসব
করিনা আমাদের থেকে কর আদায় করতে পারেনি। তারা কি এখন আমাদের থেকে কর উসুল
করবে।”
- ফলে স্বাক্ষর করা বাকী ছিল এমন অবস্থায় সন্ধি হল না। তৎপর হওয়া নিজের কথার বিপরীতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফল খারাপ হলে চুপ থাকা
এহতেসাব বা গঠনমূলক সমালোচনা চালু রাখাঃ
- একমাত্র কল্যান
কামনার জন্যই এহতেসাব
- উদারতার সাথে
এহতেসাব গ্রহন
- দূর্বলতা
অনুসন্ধান না করে বেড়ানো
নাম উল্লেখ না করে বলতেন : লোকদের কি হয়ে গেল যে, তারা এরূপ এরূপ করে ....
- “একবার এক ব্যক্তি মসজিদে নববীতে এসে দাঁড়িয়ে পেশাব শুরূ করল উপস্থিতরা মারমুখো হয়ে বাধা দিতে এগিয়ে যায়। নবী (সঃ) তাদের বাধা দিয়ে বললেন : এখন প্রথমে তাকে পেশাব করা শেষ করতে দাও।” অতপর তাকে কাছে ডেকে এনে বুঝালেন- এ হচ্ছে আল্লাহর ঘর; এটাকে নোংরা করা নিষেধ। অতপর সাহাবায়ে কেরাম পানি ঢেলে পরিস্কার করতে নির্দেশ দিলেন।
দায়িত্বপালনে স্বতস্ফূর্ততা বা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবঃ
বৃদ্ধাও তার চলার পথ থামিয়ে কথা বলতে পারতেন।
ঋণদাতা গলার চাদর ধরে টানতেন তিনি মুচকি হেসে তার অপরাধ উপেক্ষা করতেন সাথীরা তাকে বাধা দিলে তিনি বলতেন : তাকে বলতে দাও করতে দাও কারন তার অধিকার আছে
ইহদিী সরদার ‘আসসালামু আলাইকা-কে আসসামো আলাইকা (তোমার মৃত্যু হোক) ..... । হযরত আয়েশা .........
রাসূল (সঃ) বললেন হে আয়েশা মুখ খারাপ করা ও খারাপ কথা বলা আল্লাহ পছন্দ করেন না।
হযরত জয়নবের রাঃ বিবাহ উপলক্ষে অলিমা অনুষ্ঠান সম্পর্কে সহীহ মুসলিমে হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্নিত হয়েছে: (আহযাব : ৫৩)
কোন মুসলমান ভায়ের প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্য এ ঘন্টা সময় ব্যায় করা আমার মসজিদে মোস এতেকাফ করার চাইতেও আমার নিকট বেশি প্রিয়।
আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল সঃ কে দৃষ্টি আকর্ষন (তওবা : ৪৩) “হে নবী আল্লাহ তোমায় ক্ষমা করূন। তুমি কেন এই লোকদের ফিরত যাবার অনুমতি দিলে।”
আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ খাটি মুসলিম ছিলেন : তিনি তার পিতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর মৃত্যুর পর পিতার কাফনের জন্য রাসূলের জামাটি প্রার্থনা করেন। রাসূল সঃ তা প্রদান করেন। অতপর তিনি পিতার জানাযা পড়ানোর অনুরোধ জানান ---- হযরত উমরের প্রতিবাদ--- জানাযায় দাড়ানো অবস্থায় আয়াত নাজিল (তওবা ৮৪ নং আয়াত)
সামগ্রিকভাবে শৃঙ্খলা মেনটেইন করা বৈঠকী শৃঙ্খলাসহ
- বঠকের কথা বাইরে না বলা
- উচু গম্বাুজ তৈরি করলে তিনি সালামের জবাব দেয়া বন্ধ করেন ও চুর্নবিচুর্ন করে দেন
- আরকান- আহকাম নজর না দিয়ে তড়িঘড়ি নামাজ
কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে- তাবুক যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে তিন জনকে সাময়িক বয়কট করেন।
সকল বিষয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন
ব্যক্তি ও সামষ্টিগত পর্যায়ে তাকওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি
ছুটি সংক্রান্তঃ
মুমিন মূলতই তারা যারা আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ) কে অন্তর থেকে মেনে নেয়। আর কোন সামষ্টিক কাজে যখন তারা রাসূলের সঙ্গে একত্রিত হয়, তখন তারা তার অনুমতি না নিয়ে চলে যায় না। হে নবী! যেসব লোক তোমার নিকট অনুমতি চায় তারাই আল্লাহ ও রাসূল (সঃ) কে মানে। অতএব তারা যখন নিজেদের কোন কাজের কারনে অনুমতি চাইবে, তখন তুমি যাকে ইচ্ছা অনুমতি দান কর। আর এ ধরনের লোকদের জন্য আল্লাহর নিকট মাগফেরাতের দোয়া কর।” (সূরা আননূর ৬২)
ক্ষমা ও মার্জনা : দয়াশীলতা:
হযরত হাতিব ইবনে আবু বলতায়ার ঘটনা
- বনি আব্দুল মুত্তালিবের এক দাসী ঘটনাক্রমে আর্থিক সাহায্যের জন্য মদিনা আসে।
তাবুক যুদ্ধের প্রাক্কালে আল্লাহ কঠোরভাবে জানিয়ে দেন যে,
“হে নবী তুমি এ লোকদের জন্য ক্ষমা চাও বা না চাও, এমনকি সত্তর বারও যদি এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর তবুও আল্লাহ কিছুতেই ওদের ক্ষামা করবেন না” (তওবা ৮০)
আবদুল্লাহ বিন উবাই এর মৃত্যুর পর তিনি তার শত নিকৃষ্টতম শক্রর জন্যও দোয়া দোয়া করতে দ্বিধা করেন নি।
যখন তাঁকে সূরা তওবা (৮০) নং আয়াত স্মরন করিয়ে দেয়া হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন : আমি যদি জানতাম, সত্তর বারের বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করলে মাফ করা হবে, তবে আমি তাই করতাম।
সবার সাথে সমান আচরন
“তারা যদি এ পন্থা অবলম্বন করতো যে, যখনই তারা নিজেদের উপর জুলুম করে বসত, তখনই তোমার নিকট আসত এবং আল্লাহর নিকট ক্ষামা চাইত- তবে তারা অবশ্যি আল্লাহকে ক্ষমাশীল অনুগ্রহকারীরূপে পেত।” (নিসা-৬৪)
“তোমদের প্রত্যেকেই তত্ত্বাবধায়ক..... (বুখারী, মুসলিম)
“যে ব্যক্তি মুসলিমদের সামষ্টিক ব্যাপারে দায়িত্বগ্রহন করেছে, পরে তার দায়িত্ব পালনে সৎ মনোভাব
প্রদর্শন করেন এবং এ কাজে সে নিজেকে এভাবে নিয়োজিত করেনি যেভাবে সে নিজেকে নিয়োজিত
করেছে নিজের কাজে শেষ বিচারের দিন আল্লাহ তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
যোগ্যতা ও সামর্থ অনুযায়ী আচরনঃ
- ‘এক ব্যক্তি তার নিকট এসে জানতে চাইল, ইসলামের দাবী কি? তিনি বললেন শাহাদাত (তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, ত্রিশ দিনের রোযা, বাৎসরিক জাকাত পরিশোধ করা এবং একবার হজ্ব করা।’ লোকটি জিঙ্গেস করলেন এছাড়া আর কিছু আছে কি? তিনি বললেন না আর কিছু নেই। লোকটি একথা বলতে বলতে চলে গেল: আমি এর চাইতে কমতিও করব না এবং বৃদ্ধিও করবনা। নবী পাক (সঃ) সাথীদের লক্ষ্য করে বললেন : বেহেস্তী মানুষ দেখতে চাইলে এই লোকটিকে দেখে নাও।”
- কিন্তু প্রত্যেকের সাথেই তিনি এমনটি করেননি।
কারো কাছে এ কথার বায়াত নেয়া হয়েছে যে তার সাথে বাড়ী ঘর ত্যাগ করতে
কারো কাছে জান মাল বাজী রাখার ওয়াদা নেয়া হয়েছে
কারো কাছে দাবী করা রাগ গোস্বা নিবারনের
কারো সম্পর্কে বলা হয় হিজরত না করলে মুমিনদের মধ্যে গন্য হবে না
কারো সম্পর্কে বলা হয় যদিও সে নামাজ পড়ে, রোযা রাখে এমনকি নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করে- কিন্তু কতিপয় অপরাধের কারনে সে আমাদের দলভূক্ত নয়।
আবার কোথাও এতটুকু বলাকেই যথেষ্ট মনে করেছেন যে, সে ব্যক্তি আমাদের কেবলাকে কেবলা বানানো এবং আমাদের জবেহ করা পশু খেল, সে আমাদের দলভূক্ত।
অনাকাঙ্খিত গুনাবলী বর্জনঃ
- ১. যে কোন বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত
করনঃ -হুজরাত ৬
- ২. গীবত
- ৩. সম্পর্কের তারতম্য
- ৪. সবার সাথে সমান আচরন দায়িত্বদানের ব্যাপারে সমানভাবে না দেখা
- ৫. ঠাট্টা-বিদ্রূপ : সূরা হুজরাত
১১,১২
- ৬. কু-ধারনা পোষন
- ৭. রূক্ষ আচরন বা বদ মেজাজ
- ৮. হিংসা বিদ্বেষ
- ৯. আত্মপূজা-আত্মপ্রীতি
- ১০. একদেশ দর্শিতা
- ১১. সংকীর্নমনতা
- ১২. চোগলখুরী
- ১৩. একগুয়েমী
- ১৪. গোয়েন্দাগীরি
- ১৫. সন্দেহ সংশয়
- পরিবার বা সমাজের সদস্য হিসেবে আমাদের অনেক ভূমিকা আমাদের সংগঠন সম্পর্কে জনমনে কাংখিত ধারনা তুলে ধরতে পারে বা বিপরীত ধরনের ধারনা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
- এজন্য বাহ্যিক দিক থেকে সংগঠনের কাংখিত মান সংরক্ষনের প্রয়োজন আছে।
- বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করা
- পিতামাতার সাথে সৎ ব্যবহার
- প্রতিবেশির হক ঠিকমত আদায়
- আত্মীয়দের সাথে সৎ ব্যবহার
- অন্য সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সাথে সম্পর্ক ও মর্যাদা দেয়া
- নিম্ন পেশার লোকদের সাথে ভাল ব্যবহার
- গর্ব ও অহংকার পরিত্যাগ করা
- দাওয়াতী চরিত্র অর্জন করা
No comments
Thank You For your Comments.