একটি
আদর্শবাদী দলের পতনের কারনঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
লেখকঃ আব্বাস আলী খান
|
একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ
তার থেকে বাঁচার উপায় |
জন্মঃ
১৩২১ সালের
ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহে ।
স্থানঃ
জয়পুরহাট ।
পড়ালেখাঃ
প্রথমে নিজ
ঘরে কোরআনের ছবক নেন। ১৯২১ সালে ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হন। ৬ষ্ঠ শ্রেনীর পর হুগলী
মাদ্রাসায় পড়তে যান। রাজশাহী ও কারমাইকেল কলেজে পড়েন। ১৯৩৫ সালে কোলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিস্টিংশনসহ বি. এ. পাশ করেন।
স্কলারশীপঃ
৬ষ্ঠ
শ্রেনীতে ১ বছরের গভর্নমেন্ট বৃত্তি ও চারবার মেয়াদী বৃত্তি লাভ করেন।
কর্মজীবনঃ
১৯৩৫ সালে
তিনি চাকুরী গ্রহণ করেন। কিন্তু নামাযে বাধা দেয়ায় চাকুরীতে ইস্তফা দেন। ১৯৩৬ সালে
বেঙ্গল সেক্রেটারীয়েটে যোগ দেন এবং শেরে বাংলার সেক্রেটারি হন। দেশ বিভাগের পর
পূর্ব পাকিস্তানের সার্কেল অফিসার হন। ১৯৫২ সালে জয়পুরহাট স্কুলের প্রধান শিক্ষক
হন।
রাজনীতি
ও আন্দোলনঃ
- ১৯৫৫ সালে তিনি মুত্তাফিক ফরম
পূরণ করেন।
- ১৯৫৬ সালে জামায়াতের রুকন হন।
- ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিভাগীয় আমীর
হন।
- ১৯৭৯ সাল থেকে মৃত্যু পযর্ন্ত
সিনিয়র নায়েবে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৭৯ থেকে ৯২ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত
আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৬২ সালে পাকিস্তান জাতীয়
পরিষদের সদস্য হন। আইয়ুব খানের মুসলিম পারিবারিক আইন বাতিলের জন্য আন্দোলন
করেন। ১৯৭১ সালের মন্ত্রী পরিষদের শিক্ষামন্ত্রী হন। ১৯৮০ সালের ৭ ডিসেম্বর
ইসলামী বিপ্লবের ৭ দফা গণদাবী ঘোষণা করেন।
- ষাটের দশকের পাকিস্তান
ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন। গণ আন্দোলন কর্মসূচী ও কেয়ারটেকার
সরকারের জন্য আন্দোলন করেন।
সাহিত্য
চর্চাঃ
অনুবাদ
ও মৌলিক রচনা ৩৫টি মৌলিক গ্রন্থের মধ্যে
- ১. বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস
- ২. সমাজতন্ত্র ও শ্রমিক
- ৩. মুসলিম উম্মাহ ইসলামী আন্দোলন ও তার দাবী
এবং
অনুদিত গ্রন্থের মধ্যে
- পর্দা ও ইসলাম
- সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং
- জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের ভিত্তি
- ইসলামী অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য।
ইন্তেকাল
:
৩ অক্টোবর
১৯৯৯ সালে ১:২৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।
আদর্শবাদী
দল:
প্রতিষ্ঠিত
সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করে নতুন আদর্শের সমাজ গঠনের জন্য গঠিত দলকে আদর্শবাদী দল
বলে দলের কর্মীদের হতে হয়-নির্ভীক, সাহসী ও ধৈর্যশীল নেতাকে হতে হয় গতিশীল, দূরদর্শী,
সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী
দলের
লক্ষ্যঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
- দারুল ইসলাম ট্রাষ্ট গঠন ও ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠনের
পটভূমি রচনা।
- ১৯৩৮ সালে মওলানা মওদূদী কর্তৃক ‘দারুল ইসলাম’ নামক ট্রাস্ট গঠিত হয়
- ১৯৪১ সালের আগষ্টে ৭৫ জনকে নিয়ে
জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। জামায়াতের কাজ
- দুনিয়ায় খোদার আনুগত্য কায়েম করা
- দুনিয়ার নীতি
- দুনিয়ার নীতি নৈতিকতা, রাজনীতি, সভ্যতা,
সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি পরিবর্তন করা জামায়াতের কর্মীদের কাজ
- কোরআন, সীরাতুন্নবী ও সাহাবাদের বিষয়ে গভীর
জ্ঞান
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক মজবুত করা
- নিজেদের চারিত্রিক উন্নয়ন
- ফিরকা সৃষ্টিকারী কাজ পরিহার
নামাজের
মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন
- প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করা
- নিয়মিত জামায়াতে নামাজ পড়া
- তাহাজ্জুদের নামাজ
- অতিরিক্ত যিকির
- সকল কাজ আলাহর সন্তুষ্টির জন্য
- আত্মসমালোচনা-সামষ্টিক সমালোচনা
- ক্রোধ দমন
- ক্ষমাশীল হওয়া
- রূঢ় আচরন ত্যাগ
- উদার হ্ওয়া
- মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ
- বিরোধী পরিবেশে পরিস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া মনমস্তিস্ক
ও স্বভাব-চরিত্র পরিপূর্ণ ইসলামী হওয়া
বিকৃতি
ও পতনের কারন:
০১.
দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কে জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ না করা
০২.
কোরআন, হাদীস
ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন না করা
০৩.
সময় ও আর্থিক
কুরবানীর প্রতি অবহেলা
০৪.
দলীয় মূলনীতি মেনে না চলা
০৫.
ইনসাফ প্রতিষ্ঠা না করা
- স্বজনপ্রীতি
- পক্ষপাতিত্ব
- আঞ্চলিকতা
০৬.
ভ্রাতৃত্ববোধের অভাব
০৭.
পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্টকারী বিষয় পরিহার না করা
- হিংসা-বিদ্বেষ
- গীবত-পরনিন্দা-পরচর্চা
- পরশ্রীকাতরতা
- অন্যকে সন্দেহ করা
- অন্যের খোঁজখবর না নেয়া
- বৈষয়িক স্বার্থে ঝগড়া-বিবাদ
- কু-ধারনা পোষণ করা
০৮.
নৈরাশ্য ও হতাশা সৃিষ্ট
- ভ্রান্ত চিন্তাধারা
- পরিশুদ্ধ চিন্তার
অভাব
০৯.
নেতৃত্বের অভিলাষ
১০.
অর্থ-সম্পদের প্রতি লালসা
১১.
জীবন মান উন্নত করার প্রবণতা
১২.
সহজ-সরল জীবন যাপন না করা
১৩.
নেতৃত্বের দুর্বলতা
- ব্যক্তিত্বের
দুর্বলতা
- যোগ্যতার অভাব
- জ্ঞান ও নৈতিকতা
- সঠিক সিদ্ধান্ত
গ্রহণে অপারগতা
১৪.
নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা-
১৫.
সমস্যার ত্বরিৎ ও সঠিক সমাধান না করা
- অসীম ধৈর্য
- সহনশীলতা
- খোদাভীরুতা
১৬.
ত্যাগ ও কুরবানী না করা
- দুনিয়া-প্রীতি ত্যাগ
- সহনশীলতা
- খোদাভীরুতা
- আর্থিক
No comments
Thank You For your Comments.