|
চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান |
চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
নঈম সিদ্দিকী
আধুনিক
যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তানায়ক,
সমাজ সংস্কারক সপ্রসিদ্ধ আলেমে দ্বীন
মুহতারাম নঈম সিদ্দিকী “চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান” বইটি
ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের চরিত্রকে সুদৃঢ় করার জন্য রচনা করেছেন।
সংজ্ঞা| মানুষের ব্যক্তিগত
ও সমাজগত জীবনের বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীন কাজ-কর্ম, কথা-বার্তা, চিন্তাচেতনা, ওঠা-বসা, আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি, প্রতিটি
ক্ষেত্রে পুতঃ পবিত্র ভাবকে চরিত্র বলে।
চরিত্র সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ
১. ইসলামী বা সৎ
চরিত্র
২. অনৈসলামী বা অসৎ চরিত্র
ভূমিকাঃ
আলোচ্য বইটির
ভূমিকাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো
নিম্নরূপঃ
১. মানুষের তৎপরতায় শয়তানের
চ্যালেঞ্জ
২. নৈতিক অধঃপতিত এলাকার চিত্র
৩. সচ্চরিত্রের দাবী
৪. অপরের চরিত্র
সংশোধন
৫. আতœচরিত্র গঠন।
আলোচ্য বিষয়ঃ চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান বইটিতে তিনটি বিষয় আলোচনা
করা হয়েছে। যথাঃ
১. আল্লাহর বা খোদার সাথে
সম্পর্ক
২. সংগঠনের সাথে সম্পর্ক
৩. সহযোগীদের সাথে সম্পর্ক
আল্লাহর বা খোদার সাথে সম্পর্কঃ আল্লাহর বা খোদার সাথে সম্পর্ক এর আলোচিত বিষয় পাঁচটি। সেগুলো যথাক্রমেঃ
১. মৌলিক ইবাদতসমূহ যথাযথভাবে পালন করা।
২.
কোরআন ও হাদীস সরাসরি অধ্যয়ন, ইসলামী সাহিত্য বারবার অধ্যয়ন।
৩. নফল ইবাদত করা
৪.
সার্বক্ষণিক জিকির ও দোয়া
সংগঠনের সাথে সম্পর্কঃ সংগঠনের সাথে সম্পর্ক এর আলোচিত
বিষয় পাঁচটিঃ
দায়িত্বশীলের প্রতি কর্মীর করণীয়ঃ
১. আদেশ ও আনুগত্যের
ভারসাম্য রক্ষা করা
২. অন্ধ আনুগত্য পরিহার করা
৩. নেতার পরিবর্তনে আনুগত্যের
পরিবর্তন না করা।
৪. কর্মীর প্রতি দায়িত্বশীলের করণীয়ঃ
- কোমল হৃদয়ের অধিকারী হওয়া
- কর্মীদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা
করা
- পরামর্শের
ভিত্তিতে কাজ করা
- সিন্ধান্ত হয়ে গেলে আল্লাহর প্রতি ভরসা করা।
৫. কর্তৃত্ব ও
আনুগত্য সম্পর্কে আরো কিছু কথাঃ
- চিঠি-সার্কুলার এর আনুগত্য করা
- কোন
প্রোগাম বা কাজের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময় মেনে চলা
- আনুগত্যের ত্রুটি গুনাহের শামিল-এ উপলদ্ধি থাকা।
- দায়িত্বানুভূতি নিয়ে দায়িত্ব পালন করা
সহযোগিদের সাথে সম্পর্কঃ আলোচিত বিষয় ৮টিঃ
০১. সিন্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে খবরের
সত্যতা যাচাই করা।
০২. পারস্পারিক
ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখা
০৩. ঠাট্টা
বিদ্রোপ না করা
০৪. পরস্পরের দোষ খুজে না
বেড়ানো
০৫. অসম্মানজনক নাম ব্যবহার না
করা
০৬. কু ধারণা না করা
০৭. গোয়েন্দাগিরি না করা
০৮. গীবত না করা।
চরিত্রকে হাতিয়ার স্বরূপ বলা হয়েছে
চরিত্রকে মূল্যবান
সম্পদ বলা হয়েছে
অাল্লাহঅাপনাকে জাযা খায়ের দান করুন
ReplyDeleteইসলামী অান্দোলন ও সংগঠনের বইয়ের নোট দিলে উপকার হবে
ReplyDeleteআল্লাহ তায়ালা আপনার এই চেষ্টাকরণের জন্য উত্তম জাযা দান করুক।
ReplyDeleteশুকরি। জাজাকাল্লাহ
ReplyDeleteJajKallh
ReplyDeleteJajKallh
ReplyDeleteJajKallh
ReplyDeleteআল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম জাজা দান করুক
ReplyDeleteআমিন
মাশাআল্লাহ
ReplyDeleteAMIN BOHOT ACCHA HUAA
ReplyDelete