আদর্শ উপশাখার বৈশিষ্ট্য
উপশাখা কি?
- ক্ষুদ্রতম কর্মক্ষেত্র
- প্রাথমিক ইউনিট
- Practical field
- Recruiting/Supply/Production Cdntre
- যে অংশের কাজ যথাযথভাবে না হলে সংগঠনই দুর্বল হয়ে যায়
উপশাখার গুরুত্বঃ
- উপশাখা সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে
- প্রচুর সংখ্যক সমর্থক উপশাখার সাথে জড়িত
- উপশাখা দাওয়াতী কাজের আসল ক্ষেত্র
- উপশাখা নেতৃত্ব তৈরির প্রাথমিক স্তর
- উপশাখা Base Area গড়ায় সহায়ক
উপশাখা গঠনের পূর্বশর্তঃ
১. জনশক্তিঃ
কর্মীঃ কমপক্ষে ৩-১২ জন
২. পাঠাগারঃ
- কুরআন
- হাদীস
- ইসলামী সাহিত্য
- কর্মী সিলেবাস
৩. ফাইলঃ
- প্রকাশনা সংক্রান্ত
- ফর্ম সংক্রান্ত
- দাওয়াতী উপকরণ সংক্রান্ত
৪. খাতাঃ
- প্রোগ্রাম খাতা
- আয় ও ব্যয়ের খাতা
- জনশক্তি-সমর্থক-সুধীদের রেজিস্টার খাতা
- পাঠাগার এর খাতা
আদর্শ উপশাখার মৌলিক
বৈশিষ্ট্যঃ
- বৃদ্ধিঃ
- প্রতিমাসে কর্মী, সমর্থক, বন্ধু, ও শুভাকাক্সক্ষী বৃদ্ধি
- প্রতিমাসে পত্রিকার গ্রাহক বৃদ্ধি
- মাসিক প্রোগ্রামসমূহঃ
- প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম (সামষ্টিক পাঠ/কুরআন তালিম)
- দাওয়াতী প্রোগ্রাম (সাধারণ সভা, চা-চক্র, সাধারণ জ্ঞানের আসর)
- কর্মী বৈঠক
- গ্রুপ দাওয়াতী কাজ
- বায়তুলমালঃ
- প্রতিমাসে ইয়ানাত দাতা বৃদ্ধি
- জনশক্তি ও শুভাকাক্সক্ষীদের ধার্যের ১০০% আদায় নিশ্চিত
করা
- সমর্থকদের ধার্যের ৬০% আদায় নিশ্চিত করা
- টেবিল ব্যাংক এর আয় বাড়ানো ও নিশ্চিত করা
- পাঠাগারঃ
উপশাখার পরিচালকের
গুনাবলীঃ
- ১. জ্ঞান ও আমল উন্নত
- ২. জনশক্তিদের কাছে আস্থাভাজন
- ৩. ধৈর্যশীল
- ৪. সাহসী
- ৫. জরুরী পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শী
- ৬. ভাতৃত্ব ও প্রেরণা সৃষ্টি
- ৭. ত্যাগে অগ্রগামী
- ৮. সমান ব্যবহার ও ইনসাফ কায়েম
- ৯. সুবক্তা
- ১০. নথিপত্র ও হিসেব সংরক্ষণে পারদশীর্
আদর্শ দায়িত্বশীলের ভূমিকাঃ
- ১. উপশাখার সার্ভে
- ২. স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
সংগ্রহ (মেধাবী, প্রভাবশালী, নেতা)
- ৩. উর্ধ্বতন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ ও নির্দেশনার বাস্তবায়ন
- ৪. নিজের ও জনশক্তির মানোন্নয়ন
- ৫. জনশক্তির পাঠ্যাভ্যাস বৃদ্ধি
- ৬. পাড়ায়, খেলার মাঠে ও মসজিদে তৎপরতা বৃদ্ধি (ইমাম, মুযাজ্জিনের সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টি) ও সামাজিক
কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা
- ৭. এলাকার প্রভাবশালীদের শুভাকাক্সক্ষী বানানো
- ৮. দরিদ্র ছাত্রদের পাঠদান ও সহায়তা
- ৯. মাসিক দায়িত্বশীল বৈঠকে রিপোর্টসহ যথাসময়ে উপস্থিত হওয়া
- ১০. সকল পর্যায়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা
আদর্শ উপশাখার বৈশিষ্ট্য
(আটটি):
- ১. উপশাখার সকল কর্মী সক্রিয়, স্বচালিত ও স্বতস্ফূর্ত
- ২. উপশাখা সভাপতি ও কর্মীরা সুপরিচিত
- ৩. উপশাখা সভাপতি ও কর্মীদের জ্ঞান ও আমল উন্নত
- ৪. সাংগঠনিক কার্যক্রমের মান উন্নত
- ৫. দাওয়াতী, সাংগঠনিক, তারবিয়াতী ও রাজনৈতিক কার্যাবলী ভারসাম্যপূর্ণ
- ৬. বায়তুল মাল সমৃদ্ধ
- ৭. টিম স্পিরিট বিদ্যমান টিম স্পিরিট অর্থ হচ্ছে ‘নিজের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব ফলানোর চেষ্টা
না করে দলের সমষ্টিগত সাফল্যের জন্য অন্যদের সাথে মিলেমিশে কাজ করার মনোবৃত্তি।
- ৮. রিক্রুটমেন্ট সন্তোষজনক
- -অর্থাৎ
নতুন কর্মী তৈরি হওয়া এবং কর্মীসংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলা।
No comments
Thank You For your Comments.