adsterra.com

নোটঃ কুরআন সংকলনের ইতিহাস, ইসলামের যুদ্ধসমূহ ও নবী রাসুলদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস


কুরআন সংকলনের ইতিহাস, ইসলামের যুদ্ধসমূহ ও নবী রাসুলদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

আসমানী কিতাবের সংখ্যাঃ
১০৪ খানা। তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ ৪ খানাআসমানী কিতাবের সংখ্যাঃ ১০৪ খানা।
তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ ৪ খানা
  • (১) তাওরাতঃ যা নাযিল হয় হযরত মূসা (আ.) এর উপরে।
  • (২) যাবুরঃ  যা নাযিল হয় হযরত দাউদ (আ.) এর উপরে।
  • (৩) ইঞ্জিলঃ যা নাযিল হয় হযরত ঈসা (আ.) এর উপরে।
  • (৪) আল- কোরআনঃ যা নাযিল হয় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপরে।
কুরআন সংকলনের ইতিহাসঃ
রাসূল (সাঃ এর জীবদ্দশায় কুরআন তিন ভাবে সংরক্ষিত হয়-
  • (ক) বিত্বাহফীজঃ হিফজ ও মুখস্থ করার মাধ্যমে অন্তরে সংরক্ষিত হয়।
  • (খ) বিল কিতাবাতিঃ ওহী লেখকগণের দ্বারা সংরক্ষিত হয়।
  • (গ) বিল আমালিঃ আমলের মাধ্যমে কুরআন কে সংরক্ষণ করা।
কুরআন সংকলন ও সংরক্ষণের মোট ৩ টি অধ্যায়/ যুগ রয়েছেঃ


প্রথমত-
রাসূল (সা.)এর জীবদ্দশায় ঃ রাসূল (সা.) এর জীবদ্দশায় কুরআন লিখিত ভাবে সংরক্ষিত হয়। কুরআনের কোন সূরা বা আয়াত যখনই নাযিল হত তখনই নবী করিম (সা.) কাতিবে ওহীদেরকে লিখে নিতে বলতেন। তাঁরা পাথর, খেজুর পাতা,চামড়া ইত্যাদিতে লিখে রাখতেন। এমনকি তিনি নাযিলকৃত অংশটুকুর স্থানও নির্ধারণ করে বলে দিতেন এই সূরা বা আয়াতটি সূরার আগে বা পরে স্থান পাবে। এভাবে তিনি নিজেই প্রত্যেক টি সূরা বা আয়াতের স্থান নির্ধারণ করে দিতেন। সাহাবাগণ এই তারতীব অনুযায়াী কুরআন মুখস্থ করে, নিতেন। বস্তুত কুরআন নাযিল সম্পন্ন হবার পরের দিনই কুরআনের তারতীব বা পরষ্পরা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়। এক কথায় যার উপর কুরআন নাযিল করা হয় তাকে দিয়েই মহান আল্লাহ কুরআনের তারতীব নির্ধারণ করার ব্যবস্থা করেন।


দ্বিতীয়ত-
হযরত আবু বকর (রা.) এর যুগঃ হযরত আবু বকর (রা.) এর যুগে রাসূল (সা.) কর্তৃক তারতীব অনুযায়ী নিখর্র্ঁুত ও নির্ভুল পন্থায় পূর্ণাঙ্গ কুরআন একত্রিত করে গ্রন্থায়ন করা হয়। হযরত আবু বকরের খেলাফতকালে একাদশ হিজরীতে ভন্ডনবী মুসাইলামতুল কাযযাবের বিরুদ্ধে ইয়ামামার যুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৭০ জন হাফেজে কুরআন শাহাদাতবরণ করেন। এতে হযরত ওমর (রা.) বিচলিত হয়ে হযরত আবু বকর (রা.) কে সমস্ত কুরআন মাসহাফে একত্রিত করার পরামর্শ দেন। হযরত ওমরের (রা.) পরামর্শক্রমে হযরত আবু বকর (রা.) হযরত জায়েদ বিন সাবিত কে প্রধান করে কুরআন সংকলনের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। হযরত জায়েদ বিন সাবিতের নেতৃত্বে এই কমিটি কোরআনকে কাগজে, চামড়ায়, পাতায় ও পাথরে সংরক্ষিত অংশ সংগ্রহ করে হাফেজে কুরআনদের সাথে মিলিয়ে সুবিন্যস্থ করে কুরআন সংকলনের একটি পান্ডুলিপি তৈরী  করে খলিফার নিকট সোপার্দ করেন।  ইহা  মাসহাফে সিদ্দিকী নামে পরিচিত। হযরত আবু বকর (রা.) এর ইন্তেকালের পর হযরত উমরের সময় এটি হযরত হাফসা (রাঃ) এর নিকট সংরক্ষিত ছিল। ( ইহা ইমাম বুখারী (রা.) বর্ণনা করেন)।


তৃতীয়ত-
হযরত উসমান (রা.) এর যুগে সংকলনঃ হযরত উমর (রা.) এর সময় মুসলমানেরা অসংখ্য রাজ্য দখল করেন। প্রতি রাজ্যের আলাদা আলাদা ভাষা ছিল। বিভিন্ন রাজ্যের লোকেরা কোরআনকে বিভিন্ন ভাষায় তেলাওয়াত করতে লাগলো এবং এতে কোরআনের আয়াত ও অর্থের অনেক তারতম্য সৃষ্টি হল। হযরত উমর (রা.) এর ইন্তেকালের পর হযরত উসমান (রা.) খলিফা নির্বাচিত হন। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে হযরত হাফসা (রা.) এর নিকট থেকে  সংরক্ষিত কপিটি সংগ্রহ করে হযরত জায়েদ বিন সাবিত (রা.) কে রাসূল (সা.) এর ভাষায় অনেকগুলো কপি পাঠিয়ে দেন এবং পূর্বেই সকল কপিগুলো সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলেন। তার দায়িত্বে যেহেতু কোরআন সংকলিত হয়েছে তাই তাঁকে জামিউল কোরআন বলা হয়। আজ পর্যন্ত এই কপি প্রচলিত আছে।


বাইয়াতে আকাবা তথা আকাবার শপথঃ
তায়েফ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মহানবী (সা.) কিছুদিন মক্কায় ইসলাম প্রচারে বিরত থাকেন। শুধু হজ্জ মৌসুমে বিদেশী হজ্জ যাত্রীদের মধ্যে মাঝে মাঝে ইসলাম প্রচার করতেন। বিদেশী কাফেলা সমূহের মধ্যে গোপনে গোপনে ইসলাম প্রচারের ফলে মক্কার বাইরে রাসূল (সা.) এর কথা লোক মুখে ছড়িয়ে পড়ল। ফলশ্রুতিতে আবু যর গিফারী (রা.) প্রমুখ ইসলাম গ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেন। অপর দিকে মদিনায় ইসলামের দাওয়াত পৌছলে এবং পরবর্তীকালে তথাই হিজরত সংগঠিত হয়েছিল। এসময় কালেই রাসূল (সা.) একদিন আবু বকর (রা.) কে জানালেন এমন একটি অঞ্চলে আমরা যাব, যে অঞ্চলের চিত্র আমার মনে জেগেছে। অঞ্চলটি পানি সঞ্চিত, সবুজ এবং খেজুর বাগানে সমৃদ্ধ। অঞ্চল দুটি কালো পাথরের মাঝখানে বিদ্যমান। রাসূল (সা.) ইয়াসরিব বা মদিনার কথা বলেছিলেন।


আকাবার প্রথম শপথঃ 
খাযরাজ গোত্রের  কয়েকজন লোক নবুয়্যতের দশম বছর হজ্জের মৌসুমে মক্কায় এসে শুনে যে এক ব্যক্তি নবুয়াতের দাবী করছেন। ছয় জন লোক মক্কা হতে একটু দূরে আকাবা নামক স্থানে বসে কথা বার্তা বলছেন। মহানবী (সা.) তাদের নিকট উপস্থিত হয়ে জানতে পারলেন যে তারা মদিনা বাসী খাযরাজ বংশীয় লোক। আল্লাহর নবী তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন এবং কোরআন মাজিদের কতিপয় আয়াত তিলাওয়াত করে শুনালেন। তারা একে অপরের দিকে তাকাতে লাগল এবং পরিশেষে বলল- দেখ ইহুদিরা যে এ ব্যাপারে আমাদের অগ্রগামী হতে না পারে। এ বলে তারা সকলে ইসলাম কবুল করলেন। তারা সংখ্যায় ছিলেন ৬ জন। তাদের নাম- ১. আবুল হাইছাম ইবনে তাইহাম। ২. আবুল উমামা আসাদ ইবনে জুরারা (রা.) ৩. আউফ ইবনে হারেস (রা.) ৪.রাফে ইবনে মালেক ইবনে আযলান (রা.) ৫. কুতবা ইবনে আমর ইবনে হাদীদা (রা.) ৬.জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে রিয়াব (রা.)। আসহহুস সিয়ার লেখক দানাপুরীর মতেÑএটাই আকাবার প্রথম শপথ ছিল।
আকাবার দ্বিতীয় শপথঃ
আউস ও খাযরাজ গোত্রের বার জন মদিনা বাসী নবুয়াতের একাদশ বর্ষে পূর্বে বর্ণিত আকাবা নামক স্থানে রাসূল (সা.) এর সাথে সাক্ষাত করে ইসলাম গ্রহণ করেন। মহানবী (সা.) তাদের আবেদন অনুযায়ী স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সময় দ্বীনি আহকাম শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমর ইবনে মাহতুম এবং মাসআব কে মদিনায় প্রেরণ করেন।
আকাবার তৃতীয় শপথঃ
নবুওয়াতের দ্বাদশ বর্ষ। সকলে আকাবার দ্বিতীয় শপথের পর মদিনায় চলে গেলেন। হযরত মাসআব ইবনে উমায়ের (রা.) সেখানে ইমামতি করতেন। মাসআব ইবনে উমায়েরের হাতে সে বছর বহু লোক মুসলমান হলেন। তাদের মধ্যে উসায়েদ ইবনে হুযায়ের এবং সাদ ইবনে মায়ায ছিলেন। বনী আব্দুল আশহারের সকল নর নারী এ দু ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণের কারণে মুসলমান হয়ে গেলেন। মদিনায় এভাবে দ্রুত গতিতে ইসলাম প্রসার হতে থাকে। মদিনায় ঐ বছর রাসূল (সা.) এর সুখ্যাতি ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। বর্ধিত হারে হজ্জের কাফেলা রওয়ানা করেছিল। তাদের মধ্যে মুসলমান আনছার এবং কাফেরদের বিরাট দল অংশগ্রহণ করে। ৭৩ জন নারী পুরুষ একসাথে মক্কায় এসে মহানবী (সা) এর হাতে আকাবা নামক স্থানে ওয়াদা বদ্ধ হয়ে শপথ  করলেন যে, “আপনার এবং ইসলামের হেফাজতের জন্য আমরা এভাবে জীবন উৎসর্গ করব,যেভাবে নিজের পরিবার-পরিজন এবং ইজ্জতের জন্য করে থাকি। মহানবী (সা.) সে রাত্রে কঠিন শপথের পর তাঁদের মধ্যে হতে ইসলাম প্রচার  এবং দ্বীনি তালিমের জন্য ১২ জন নকিব বা প্রচারক নিযুক্ত করেন। দানাপুরির মতে এটাই আকাবার তৃতীয় শপথ
শপথের মূল বিষয়ঃ
মদিনাবাসী মহানবী (সা.) এর নিকট যে শপথ গ্রহণ করে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছিল নিম্মে তা উদ্ধৃত্ত হলঃ
  • ১. আমরা এক আল্লাহ তায়ালার এবাদত বন্দেগী করব। তাঁকে ছাড়া আর কোন বস্তু বা ব্যক্তিকে প্রভু বলে স্বীকার করব না। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করব না।
  • ২. আমরা চুরি ডাকাতি বা অন্য উপায়ে অপরের সম্পদে অবৈধ হস্তক্ষেপ করব না।
  • ৩. আমরা ব্যভিচারে লিপ্ত হব না।
  • ৪. কোন অবস্থায়ই আমরা সন্তান হত্যা বা বলি দেব না।
  • ৫. আমরা কারো প্রতি মিথ্যা দোষারূপ করবো না বা কারো চরিত্রের প্রতি অপবাদ দেব না।
  • ৬. প্রত্যেক সৎ কর্মে আমরা মহানবী (সা.) এর অনুগত থাকব, কোন ন্যায় কাজে অবাধ্য হব না।
যুদ্ধ সমূহঃ
বদর যুদ্ধঃ
রাসূল (সা.) এর জীবনের প্রথম যুদ্ধ। ১৭ রমযান ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ এই যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এই যুদ্ধটি মদিনা থেকে ৮০ মাইল দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে বদর নামক স্থানে সংগঠিত হয়। এতে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন আর কোরাইশদের সংখ্যা ছিল ১০০০ এর উপর। এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয় লাভ করে। এতে ৭০ জন কোরাইশ নিহত হয়। এই যুদ্ধে ৬ জন মুহাজির এবং ৮জন আনসার সহ মোট ১৪ জন মুসলমান শাহাদাত বরণ করেন।
উহুদ যুদ্ধঃ
৬২৫ খ্রিষ্টাব্দে হিজরীর তৃতীয় বর্ষে কুরাইশ দলপতি আবু সুফিয়ানের ৩০০০ সশস্ত্র উষ্ট্ররোহী ও ২০০ অশ্বারোহী সহ মক্কা হতে যুদ্ধভিযান করে মদিনার ৫ মাইল পশ্চিমে উহুদ নাম স্থানে উপস্থিত হয়। এর প্রেক্ষিতে ১০০ জন বর্মধারী এবং প্রায় ৫০ জন তীরন্দাজসহ ১০০০ জন মুজাহিদ বাহিনী কুরাইশদের মোকাবিলা করার জন্য উহুদের দিকে  অগ্রসর হন। পথিমধ্যে মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ বিন উবাই তার ৩০০ জন অনুসারী নিয়ে পলায়ন করে। শেষ পর্যন্ত ৭০০ জন মুজাহিদ নিয়ে ৬২৫ খৃষ্টাব্দে ২৩ মার্চ মুসলিম ও কাফেরদের মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়। উহুদ পাহাড়ের দক্ষিণে আইনায়েন পাহাড়। এই পাহাড়ে রাসূল (সা.) তীরন্দাজ বাহিনী সমাবেশ করেন এবং যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তাদেরকে সেখানে অবস্থান করতে বলেন। কিন্তু যুদ্ধের প্রথমদিকে মুসলমানদের বিজয় অর্জিত হলে তীরন্দাজ বাহিনী গণীমত কুড়ানোর জন্য মাঠে নেমে যায়। এই সুযোগটিকে কাফের নেতা খালিদ বিন ওয়ালিদ কাজে লাগায়। খালিদ বিন ওয়ালিদ পেছন দিক থেকে আক্রমণ করে মুসলমানদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। স্বয়ং রাসূল (সা.) এই যুদ্ধে আহত হন এবং গুজব ছড়িয়ে পড়ে তিনি নিহত হয়েছেন। এই যুদ্ধে মুসলমানদের ৭০ জন মুজাহিদ শহীদ হন। অপরপক্ষে নিহত হয় ২৩ জন।
খন্দকের যুদ্ধেঃ
৬২৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ শে মার্চ যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। কুরাইশ ইহুদী ও বেদুইনদের মোট সৈন্য সংখ্যা ছিল ১০৬০০ জন। মুসলমানদের সৈন্য ছিল ৩০০০ জন। মুহাম্মদ (সা.) পারস্যবাসী সালমান ফারসীর পরামর্শে ৬ দিন কঠোর পরিশ্রম করে মদিনার চতুর্দিকে পরিখা খনন করেন। কুরাইশরা দীর্ঘ ২৭ দিন মদিনা অবরোধ করে রাখে। পরিখার কারণে মদিনা আক্রমনে ব্যর্থ হয়ে আবু সুফিয়ান মক্কায় ফিরে  যেতে বাধ্য হয়।
হুদায়বিয়ার সন্ধিঃ
রাসূল (সা.) ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় গমনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ১৪০০ সাহাবী নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বুদাইল বিন ওরাকার নিকট কুরাইশদের যুদ্ধভিযানের কথা শুনে মক্কার ৯ মাইল অদূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেন। কুরাইশদের পক্ষ থেকে ওরাকা বিন মাসুদ সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে আসেন। মুসলমানদের পক্ষে হযরত উসমান (রা.) সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে পাঠান। মুসলিম শিবিরে হযরত উসামান (রা.) হত্যার রব উঠে। এতে মুসলমানগ ক্ষুদ্ধ হয়ে শপথ করে যে উসমান হত্যার প্রতিশোধ না নিয়ে তারা  ফিরে যাবে না। মুসলমানদের এই ঘোষণা শুনে কুরাইশরা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে উঠে এবং সাথে সাথে সোহাইল বিন আমরকে সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে পাঠায়। ইতিহাসে এটা হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে পরিচিত।
সন্ধির প্রধান প্রধান শর্তগুলো হলঃ
  • ১. ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে মুসলমানরা হজ্জ না করে মদীনায় ফিরে যাবে।
  • ২. ১০ বছর সকল প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ থাকবে।
  • ৩. পরের বছর মাত্র ৩ দিনের জন্য মুসলমানরা হজ্জ পালনে আসতে  পারবে।
  • ৪. মক্কায় অবস্থান কালে মুসলমানগণ শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য কোষবদ্ধ তরবারী রাখতে পারবে।
  • ৫. কোন মক্কাবাসী মদীনায় আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দেয়া যাবে না।
  • ৬. কোন মদীনাবাসী মক্কায় আসলে তাকে মক্কাবাসী ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকবে না।
  • ৭. সন্ধির শর্তাবলী উভয় পক্ষ সমানভাবে পালন করবে।
মদিনা সনদঃ
যখন মদীনা বাসীদের মধ্যে ধর্মীয় অধঃপতন, হতাশা, সামাজিক অসন্তোষ, কুসংস্কার এবং রাজনৈতিক বিশৃংখলা ও অরাজকতার হাত হতে রক্ষা হওয়ার জন্য মদীনাবাসীগণ একজন মহাপুরুষ ও ত্রানকর্তা রূপে রাসূল (সাঃ) কে সম্মানের সাথে আমন্ত্রণ করেন। কারণ আউস ও খাযরাজ গোত্রের মধ্যে ধারাবাহিক যুদ্ধের কারণে মদীনাবাসীগণ  সংশয়, উদ্বেগ ও অস্থির হয়ে পড়ে। মদীনার এই অস্থিরতা দূর, গোত্রগুলোর ঐক্য ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করার মানসে রাসূল (সাঃ) একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র সংকল্প করেন। আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়কে একত্রিকরণ ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করা এবং অমুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিষ্ণুতার ভিত্তিতে সহনশীলতার মনোভাব গড়ে তোলার জন্য ৪৭ টি শর্ত সম্বলিত একটি সনদ প্রনয়ন করেন। ইসলামের ইতিহাসে ইহা মদিনা সনদ নামে পরিচিত।
নিন্মে উল্লেখযোগ্য শর্তবলী আলোচনা করা হল-
  • ১. মদিনা সনদের স্বাক্ষরকারী ইহুদী,খৃষ্টান, পৌত্তলিক ও মুসলমান সম্প্রদায় সমূহ সমান অধিকার ভোগ করবে এবং তারা একটি সাধারণ  জাতি গঠন করবে।
  • ২. রাসূল (সা.) নব গঠিত প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকার বলে মদীনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন।
  • ৩. পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা।
  • ৪. কেউ কুরাইশদের সাথে কোন কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না। কিংবা মদিনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কুরাইশদের সাহায্য করতে পারবেনা।
  • ৫. কোন সম্প্রদায়কে বহিঃশত্রু আক্রমন করলে সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় তা প্রতিহত করবে।
  • ৬. বহিঃশত্রুর আক্রমনে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায় সমূহ স্ব স্ব যুদ্ধ ব্যয়ভার বহন করবে।
  • ৭. কোন ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত বলে গণ্য হবে। অপরাধীর সম্প্রদায়কে দোষী করা যাবে না।
  • ৮. মদিনা শহরকে পবিত্র ঘোষণা করা হল। এতে কোন হত্যা, রক্তপাত এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ চলবে না।
  • ৯. অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে। সর্বপ্রকার অপরাধীকে ঘৃণার চোখে দেখবে।
  • ১০. ইহুদী মিত্ররাও সমান নিরাপত্তা পাবে ও স্বাধীনতা ভোগ করবে।
  • ১১. দুর্বল ও অসহায়কে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
  • ১২. রাসূল (সা.) এর অনুমতি ছাড়া মদীনা বাসীগণ কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।
  • ১৩. সম্প্রদায়দের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে রাসূল (সা.) আল্লাহর বিধান অনুসারে মিমাংশা করবেন।
খাইবার যুদ্ধঃ
৬২৮ খিষ্টাব্দে মে মাসে ( ৭ম হিজরীর মহররম মাসে) এ যুদ্ধে সংগঠিত হয়। ইহুদীরা বেদুঈন গোত্রের সহযোগীতায় ৪০০০ চার হাজার সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ অবতীর্ণ হন। রাসূল (সা.) ২০০ অশ্বরোহী সহ ১,৬০০ মুসলিম যোদ্ধা প্রেরণ করেন। খাইবার ও বনু গাতফানদের মধ্যে যাতায়াত বন্ধের মাধ্যমে তাদেরকে অবরোধ করো রাখা হয়। দীর্ঘ দিন অবরোধ থাকার পর ইহুদীরা আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য এই যুদ্ধে আলী (রা.) আসাদুল্লাহ উপাধি লাভ করেন।
মুতার যুদ্ধঃ
মুতার যুদ্ধ ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে ( ৮ হিজরীর জুমাদিউল উলা মাসে) সংগঠিত হয়। রাসূল (সা.) এর দূত হারিস বিন উমাইয়াকে মুতায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার  প্রতিরোধ নেয়ার জন্য রাসূল (সা.) ৩,০০০ (তিন হাজার) সৈন্যের একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। এ যুদ্ধে বিশিষ্ট তিন জন সেনাপতি সাহাবী ( যায়েদ,জাফর,আব্দুল্লাহ) শাহাদাত বরণ করেন। এক লক্ষাধিক রোমান সৈন্যের মোকাবিলায় মাত্র ৩০০০ সৈন্য বিপর্যয়ের মুখে পড়লে বীরশ্রেষ্ট খালিদ বিন ওয়ালিদ সমীহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন। বীরত্বের জন্য খালিদ বিন ওয়ালিদ সাইফুল্লাহ উপাধি লাভ করেন।
হুসাইনের যুদ্ধঃ
৩৩০ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ শে জানুয়ারী (৮ম হিজরীতে) হুসাইনের যুদ্ধ সংগঠিত হয়। মক্কার তিন মাইল দূরে হুনাইন নামক স্থানে ২০,০০০ সৈন্য নিয়ে বেদুইনেরা সমাবেশ করে। বীর শ্রেষ্ট খালিদ বিন ওয়ালিদ এর নেতৃত্বে ১২,০০০ সৈন্য হুনাইন প্রান্তরে যুদ্ধ উপনিত হয়। এই যুদ্ধে ৬০০০ সৈন্য মুসলমানদের হাতে বন্ধী হয়।
তাবুক যুদ্ধঃ
এটি ছিল রাসূল (সা.) এর জীবনের সর্বশেষ অভিযান। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে ( ৯ হিজরীর রজব মাস) লক্ষাধিক সৈন্য সহ বায়জান্টাইন বাহিনী মদীনার দিকে রওনা হয়। মুসলিম বাহিনীতে ১০০০ অশ্বারোহী ও ৩০০০ পদাধিক সৈন্য সহ মোট ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) সৈন্য ছিল। এই যুদ্ধে আবু বকর (রা.) তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করেন, হযরত ওমর তাঁর জীবনের অর্জিত সম্পদের অর্ধেক দান করেন, হযরত ওসমান (রা.) ও আব্দুর রহমান ইবনে আউফ সহ সকলে বিপুল পরিমান সাহায্য করে, মেয়েরা তাদের গহনা খুলে দিয়ে ত্যাগের নাজরানা পেশ করেন। এ সময়টিতে দেশে চলছিল দূর্ভিক্ষ, আবহাওয়া ছিল প্রচন্ড গরম, ফসল কাটার সময় এসে গিয়েছিল, সওয়ারি ও সাজ সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা ছিল খুবই কঠিন। তথাপিও মুসলমানদের জন্য এটি ছিল অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন; বিধায় আল্লাহর রাসূল (সা.) এর জন্য কোনভাবে পিছপা হওয়ার সুযোগ ছিল না। অবশেষে রোমান বাহিনী মুতার যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির কথা স্বরণ করে নিজেদের সৈন্য বাহিনী গুটিয়ে নেয়। ফলে এ অভিযানে যুদ্ধের কোন প্রয়োজন হয় না।
কোরআন অধ্যয়নের সমস্যা ও সমাধান
সমস্যা
সমাধান
কোরআন ওহীর ভাষায় নাযিল
ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী হওয়ার চেষ্টা করা
আরবী ভাষায় নাযিল
আরবী ভাষায় জ্ঞানার্জন করা
নাযিলের প্রেক্ষাপট না জানা
নাযিলের প্রেক্ষাপট জানার চেষ্টা করা
কোরআন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক না হওয়া
কোরআন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক থাকা
শুধু ঘরে বসে কোরআন বুঝার চেষ্টা   করা
কোরআনের আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করা
কোরআনের পরিবেশে অবস্থান না করা
সর্বদা ইসলামী পরিবেশে অবস্থান করা
অন্যান্য গ্রন্থের ন্যায় মনে করা
দুনিয়াবী গ্রন্থের ন্যায় মনে না করা
বিষয়ভিত্তিক  ধারাবাহিকভাবে  সাজানো কোন গ্রন্থ নয়
যে বিষয় সামনে আসবে সে বিষয় সম্পর্কে ধারনা রাখা
মুহকাম-মুতাশাবিহ দু ধরনের আয়াত বিদ্যমান
মুহকাম- মুতাশাবিহ সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা রাখা।
          
সূরা ফাতিহার দশটি নামঃ
নাম
অর্থ
উম্মুল কোরআন
কোরআনের জননী
উম্মুল কিতাব
 কিতাবের জননী
ফাতিহাতুল কোরআন
কোরআনের ভূমিকা
ফাতিহাতুল কিতাব
 কিতাবের ভূমিকা
সূরাতুদ দোয়া
দোয়া করার সূরা
সূরাতুস সিফা
সাফায়াতকারী
সূরাতুস শুকুর
প্রশংসার সূরা
সুরাতুল সালাত
নামাজের সূরা
সূরাতুল কাফিয়াহ
পরিপূর্ণতা দানকারী
সূরাতুল সওয়াল
চাওয়ার সূরা
          
আশারায়ে মুবাশশারাহ ১০ জনঃ

  • ১. হযরত আবু বকর (রা.)
  • ২. হযরত উমর (রা.)
  • ৩. হযরত উসমান (রা.)
  • ৪. হযরত আলী (রা.)
  • ৫. হযরত তালহা (রা.)
  • ৬. হযরত যোবায়ের (রা.)
  • ৭.হযরত আব্দুল রহমান ইবনে আউফ (রা.)
  • ৮. হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)
  • ৯.হযরত আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ
  • ১০. হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ (রা.)
মুতার যুদ্ধে চার জন  সেনাপতির নাম ঃ
  • ১. হযরত জায়েদ ইবনে হারিস (রা.)
  • ২. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাহ  (রা.)
  • ৩. হযরত জাফর বিন আবু তালিব (রা.)
  • ৪. হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.)
যে চার জন নবী রাষ্ট্র প্রধান ছিলেনঃ
  • ১.হযরত দাউদ (আ.)
  • ২.হযরত সুলাইমান (আ.)
  • ৩. হযরত ইউসুফ (আ.)
  • ৪. হযরত মুহাম্মদ (সা.)
যে সকল মহিলারা মুহররামাদের অন্তর্ভূক্ত ঃ
  • ১. আম্মা-দাদী-নানী-
  • ২.কন্যা
  • ৩.বোন
  • ৪. ফুফু
  • ৫. খালা
  • ৬.ভাইয়ের কন্যা
  • ৭. বোনের কন্যা
  • ৮.দুধ-মা
  • ৯. দুধ-বোন
  • ১০. শ্বাশুড়ী
  • ১১.স্ত্রীর আগের স্বামীর মেয়ে
  • ১২.সেই সব স্ত্রীেেদর কন্যা যাদের সাথে তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
  • ১৩.পুত্রবধু
  • ১৪. দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা।
কুরআন বর্ণিত দশজন মহিলাঃ
নাম
 যে সূরায় এসেছে
হযরত আয়েশা (রা.)
সূরা নুর
উম্মে মূসা(রা.)
সূরা কাসাস
 উকতেদ মূসা
সূরা কাসাস
ইমরাতে ফেরাউন
সূরা কাসাস
ইমরাতে ইমরান
সূরা আল-ইমরান
ইমরাতে ইব্রাহীম
 সূরা হুদ  , সূরা জারিয়াত
ইমরাতুহু
সূরা লাহাব
ইমরাতাইনে
সূরা নামাল
ইমরাত
সূরা নামাল
 ইমরাতুল আজিজ
গূরা ইউসূফ

ইসলামী রাষ্ট্র প্রধানে কাজঃ
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদান। ইনসাফ পূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা। আল-কোরআনে রাষ্ট্রপ্রধানে মৌলিক ৪টি কাজের কথা বলা হয়েছে ঃ (সূরাঃ হজ্জ-৪১)
  • ১. নামাজ ভিত্তিক সমাজ 
  • ২. যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা
  • ৩. রাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে সৎ কাজের প্রচলন করা
  • ৪. সমাজ থেকে ফিৎনা ও অসৎ কাজ চিরতরে নির্মূল করা।
সূরা তাওবায় যাদের গুনাহ মাফ করা হয়েছেঃ
  • ১. হযরতকাব বিন মালেক (রা.)
  • ২.মুরারা ইবনে রুবাই (রা.)
  • ৩.হযরত হেলাল ইবনে উমাইয়া (রা.) (সূরাঃ তাওবা-১১)
কোরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর নামঃ
নবীদের নাম
হায়াত
কত বার এসেছে
সূরা ও আয়াত
 হযরত আদম (আ.)
১০০০বছর


হযরত নূহ (আ.)
৯৫০ বছর
৪৩ বার
হুদ-৮৯
হযরত লুত (আ.)
৩৫০ বছর
২৭ বার
আনআম-৮৬
হযরত সালেহ (আ.)
৮৫ বছর
 ১২ বার
হুদ-৮৯
হযরত ইউনূছ (আ.) 

৪ বার
আনআম-৮৬
হযরত ইউসূফ (আ.)
 ১২০ বছর
 ২৭ বার
 আনআম-৮৪
হযরত জাকারিয়া (আ.)

৭ বার
আনআম-৮৫
হযরত দাউদ (আ.)
 ১০০ বছর
 ১৬ বার
 নিসা-১৬৩
 হযরত ইয়াহইয়া (আ.)

৫ বার 
আনআম-৮৬
হযরত সুয়াইব (আ.)

   ১১ বার
আরাফ-৮৫
  হযরত হারুন (আ.) 

২০ বার
  নিসা-১৬৩
  হযরত মূসা (আ.)
   ১২০ বছর
 ১৬৩ বার 
বাক্বারা-৩৫
 হযরত ইসা (আ.)

 ২৫ বার
  নিসা-১৬৩
 হযরত ইব্রাহিম (আ.)
 ১৭৫ বছর
   ৬৯ বার
 বাক্বারা-১৩৫
 হযরত ইসমাইল (আ.) 

 ১২ বার
আনআম-৮৬
হযরত সুলাইমান (আ.)
৫৩ বছর
১৮ বার
 নিসা-১৬৩
হযরত ইয়াকুব (আ.)
 ১৪৭ বছর 
 ১৬ বার
বাক্বারা-১৩৫
  হযরত ইলিয়াস(আ.)

 ৩বার
আনআম-৮৫
 হযরত মাসুদ (আ.)

 ২৬ বার
 বনি ইসরাইল-৫৯
হযরত হুদ (আ.)

 ১০ বার
হুদ-৮৯
 হযুরত ইদ্রিস (আ.)
৩৫০ বছর
 ২ বার
 আম্বিয়া-৮৫
হযরত ইসহাক (আ.)
 ১৮০ বছর
 ১৮ বার
বাক্বারা-১৩৫
 হযরত আইয়ূব (আ.)
৯৩ বছর 
 ৪ বার
 নিসা-৬৩
হযরত মোহাম্মদ (সা.)
৬৩ বছর
৪ বার
ইমরান-১৪৪,আহযাব-৪০, 
ফাত্হ-২৯, মুহাম্মদ-২, 
আহমদ 

১ বার
সফ-৬১
১. হযরত ইসা (আ.)
  • (ক)মৃতকে জীবিত করতে পারতেন ।
  • (খ) জন্মাদ্ধ ও কুষ্ট রোগীকে রোগমুক্ত করতে পারতেন।
  • (গ) মাটি দিয়ে পাখি তৈরি করে তাতে ফুঁক দিলেই পাখির ভিতরে প্রাণ সঞ্চার হত।
  • (ঘ) তিনি বলে দিতে পারতের কার কত আয়-ব্যয় ও সঞ্চয় হয়েছে। 
২. হযরত সুলাইমান (আ.) 
  • (ক) তিনি একটি তক্তা দিয়ে এক দিনে ছয় মাসের পথ চলতে পারতেন।
  • (খ) তিনি মূহুর্তের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যেতে পারতেন।
  • (গ) তিনি সিংহাসনে বসে সমগ্র পৃথিবীপরিচালনা করতেন। 
৩. হযরত মূসা (আ.) 
  • (ক) লাঠি মাটিতে নিক্ষেপ করলে অজগর সাপ হয়ে যেত ।
  • (খ) উজ্জল হাত।
  • (গ) দূর্ভিক্ষ।
  • (ঘ) ফসলের উৎপাদন হ্রাস।
  • (ঙ) প্লাবন বা তুফান।
  • (চ) পঙ্গপাল।
  • (ছ) উকুন।
  • (জ) ব্যাঙ।
  • (ঝ) রক্ত।
৪. হযরত দাউদ (আ.) 
  • (ক) তিনি হাত দিয়ে লোহা গলিয়ে ফেলতে পারতেন।
  • (খ) তিনি হাত দিয়ে যে কোন শক্ত জিনিসকে গলাতে পারতেন।
  • (গ) তিনি যখন যাবুর শরীফ পাঠ করতেন তখন পশু পাখিরা শুনতে জড়ো হত।
যে সকল সূরাবা আয়াত বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাযিল হয়  
  • ১। ইফকে ঘটনা (সূরা-নূর)
  • ২। পর্দার বিধান (সূরা-আহযাব ও নূর)
  • ৩। আনুগত্যের বিধান (সূরা-হুজরাত)
  • ৪। তালাকের বিধান (সূরা-তালাক)
  • ৫। জিহাদের বিধান (সূরা-তাওবা)
জান্নাত ও জাহান্নাম সমূহের নাম  
জান্নাত-৮টি
 জাহান্নাম-৭টি
জান্নাতুল আদন 
সাইর
জান্নাতুল খুলদ
সাক্বার
দারুন নাঈম
লাজা
 দারুল মাওয়া
হুতামা
দারুস সালাম
জাহিম
দারুল মাক্বাম
 হাবিয়া
 দারুল কারার
জাহান্নাম
 জান্নাতুল ফেরদাউস

  




No comments

Thank You For your Comments.

Powered by Blogger.
(function(i,s,o,g,r,a,m){i['GoogleAnalyticsObject']=r;i[r]=i[r]||function(){ (i[r].q=i[r].q||[]).push(arguments)},i[r].l=1*new Date();a=s.createElement(o), m=s.getElementsByTagName(o)[0];a.async=1;a.src=g;m.parentNode.insertBefore(a,m) })(window,document,'script','https://www.google-analytics.com/analytics.js','ga'); ga('create', 'UA-127411154-1', 'auto'); ga('require', 'GTM-WSRD5Q2'); ga('send', 'pageview'); (function(i,s,o,g,r,a,m){i['GoogleAnalyticsObject']=r;i[r]=i[r]||function(){ (i[r].q=i[r].q||[]).push(arguments)},i[r].l=1*new Date();a=s.createElement(o), m=s.getElementsByTagName(o)[0];a.async=1;a.src=g;m.parentNode.insertBefore(a,m) })(window,document,'script','https://www.google-analytics.com/analytics.js','ga'); ga('create', 'UA-127411154-1', 'auto'); ga('require', 'GTM-WSRD5Q2'); ga('send', 'pageview');